shariakibole.com

পোহালে শর্বরী

মরুভূমি।

caravan-crossing-the-desert

ধু-ধু বালু, এ-দিগন্ত থেকে ও-দিগন্ত। উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। শত সহস্র বছর ধরে প্রচণ্ড মার্তণ্ড দহনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে তার মাটি। মাঝে-মধ্যে ধূসর সবুজ পাতার কাঁটাভরা কিছু বাবলা গাছ, তৃণগুল্ম। কিছু কীট-পতঙ্গ। আশ্চর্য ! দিক দিগন্তরে এ-জ্বলন্ত মৃত্যুর মধ্যেও প্রবল বিদ্রোহে ওরা ধরে রেখেছে জীবনের চিহ্ন। এরই নাম প্রাণ। শত মৃত্যুর মাঝেও মাথা তুলে উঠে দাঁড়ায়। হাসে, কাঁদে, খেলা করে। আবার চারধার থেকে কালনাগিনীর ফণা তুলে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মৃত্যু। পলকের জন্য হার মানে জীবন। তারপর সময় সুযোগ বুঝে স্বর্গীয় শিশুমুখের নির্মল হাসিতে আবার উঠে দাঁড়ায়, আবার অলঙ্কৃত করে বন্ধ্যা ধরণী। শাশ্বত একটা বৃত্তাকার গল্প।

এগিয়ে চলেছে একটা সুখী কাফেলা। মদিনা থেকে চলেছে মিশরের দিকে। পরিতৃপ্ত আরব বেদুইনের দল। মিশরের নতুন গভর্নর হিসেবে খলিফা হযরত ওসমান (রাঃ)-এর স্বাক্ষরিত খেলাফতের স্ট্যাম্প লাগানো নিয়োগপত্র নিয়ে কাফেলা সহ চলেছেন সাহাবি মুহম্মদ (রাঃ), প্র ম খলিফা হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর ছেলে তিনি। সময়টা সুবিধের নয়। বিশাল ইসলামি রাষ্ট্র। মিশর থেকে ইরাক, সিরিয়া থেকে ইয়েমেন, এখানে ওখানে ঘনীভূত হচ্ছে ঘন কালো মেঘ। আকাশে জমে উঠছে সর্বনাশা বজ্র। এর কথাই কি বলে গিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর (দঃ) ? হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন বার বার ? সাবধান ! সাবধান ! মুসলমান তোমার ভাই। তার রক্ত হারাম তোমার জন্য। সাবধান !

চলছে কাফেলা। তিসরি মঞ্জিল পেছনে ফেলে। নিয়োগপত্র হাতে নূতন গভর্নর মুহম্মদ (রাঃ) ভাবছেন, মিশরের বর্তমান গভর্নর আবদুলাহ বিন সাদ তাঁর পদচ্যুতিকে কিভাবে নেবেন। এই সেই আবদুলাহ বিন সা’দ, যিনি ছিলেন নবীজীর ওহি লেখক, যিনি ইসলাম ছেড়ে মুরতাদ হয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন মক্কায়। নবীজী তাঁকে কোন শাস্তি দেননি, তিনি পরে আবার মুসলমান হয়েছিলেন। তিনি কি খলিফার নির্দেশ মাথা পেতে নেবেন ? নাকি এখানে ওখানে ধূমায়িত হচ্ছে যে বিক্ষোভ, অসন্তোষ, সেই দলে গিয়ে যোগ দেবেন? যা দিনকাল পড়েছে, কাউকেই আগের মতো ভরসা করে উঠতে পারা যায় না। খারাপ, খুব খারাপ সময় এখন।

দূরে কে ঐ যায় ? একলা একটা উটে একা একজন লোক ! এত দ্রুত তো উট চালায় না কেউ ! দুস্তর মরুভূমিতে একা কেউ এভাবে সাধারণতঃ যাতায়াত করে না। পথ হারাবার ভয়, অসুস্থ হবার ভয়। ধরে আনা হলো লোকটাকে। পকেট থেকে বেরুল খলিফা হযরত ওসমান (রাঃ)-এর আরেকটি সনদ। মিশরের বর্তমান গভর্নর আব্দুলাহ্র প্রতি। তাতে লেখা আছে, নূতন গভর্নরের নিয়োগপত্র নিয়ে তোমার ওখানে যাচ্ছে হজরত আবু বকরের ছেলে মুহম্মদ বিন আবু বকর। পৌঁছামাত্র তাকে যেন হত্যা করে ফেলা হয়।

যে কোন প্রতিবাদকারীকে অবিলম্বে যেন বন্দি করা হয়। এটাতেও খলিফার সরকারী স্ট্যাম্প-মোহর লাগানো। এটাতেও খলিফা হযরত ওসমান (রাঃ)-এর স্বাক্ষর।

পুরো কাফেলা আকাশ থেকে পড়ল। তারপর পুরো আকাশটাই যেন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল তাদের মাথায়। এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা ! এত বড় জঘন্য প্রতারণা ! আগুন জ্বলে গেল বেদুইনের রক্তে। ‘প্রতিশোধ’ ‘প্রতিশোধ’ গর্জনে পেছনে মদিনার দিকে ছুটল কাফেলা। পথে যারাই পড়ছে সবাইকে দেখাচ্ছে দু-দু’টো উল্টো পরোয়ানা। যে-ই দেখছে, উন্মত্তের মতো যোগ দিচ্ছে কাফেলায়। মদিনায় যখন পৌঁছল, ক্ষুদ্র কাফেলা তখন জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। ক্ষুব্ধ সে সমুদ্র সাইক্লোনের মতো এসে আছড়ে পড়ল মদিনার পথে পথে। ত্রস্তে বেরিয়ে এলেন নেতৃবৃন্দ − হযরত আলী (রাঃ), হযরত যুবায়ের (রাঃ), হযরত তাল্হা (রাঃ) এবং অন্যান্যরা। হাজার কণ্ঠের হুঙ্কার, হাজার তরোয়ালের বিদ্যুৎ চমকে ‘বিশ্ব রহিল নিঃশ্বাস রুধি, নিভায়ে সূর্য্যতারা।’

চিৎকার করে উঠলেন নেতৃবৃন্দ, ‘দাঁড়াও ! লজ্জা করে না ? জানো কার বিরুদ্ধে কথা বলছ ? পয়গম্বর (দঃ)-এর দু-দু’জন কন্যার স্বামী যুন্নুরাইন তিনি। দুর্ভিক্ষে অনাহারক্লিষ্ট মুসলমানের মুখে এক হাজার উটের বয়ে আনা খাবারের দাতা তিনি। বদর যুদ্ধে যোগ না দিয়েও গণিমতের অংশীদার। বেঁচে থাকতেই আলাহ্র ঘোষণায় শহীদের মর্য্যাদাপ্রাপ্ত বেহেশতি তিনি। বহু জেহাদের প্রধান খরচ-বহনকারী, লক্ষ লক্ষ দিনার, হাজার হাজার উট হুজুর (দঃ)-এর পায়ে রেখে দেয়া সর্বত্যাগী ধনী সওদাগর। শুধু ওসমান নন, ওসমান বিন আফফান, ওসমান গণি তিনি। লজ্জা করে না ?’

পলকের জন্য থমকে গেল সাইক্লোন। তাইতো ! ওসমান তো অনেক আছে, কিন্তু যুন্নুরাইন তো ঐ একজনই ! গণি তো ঐ একজনই !

কিন্তু চোখের সামনে হাতের মুঠোয় দু-দু’টো উল্টো সনদ আগুনের মতো জ্বলছে। তাকে তো আর অস্বীকার করা যায় না। স্বাভাবিকভাবেই খলিফার দরবারে ছুটল উত্তেজিত বিদ্রোহী দল। খলিফার সামনে খুলে ধরল দু’টো সনদ।

কি বলবেন হযরত ওসমান (রাঃ) ? এত বড় বিস্ময়ের জন্য কি বিন্দুমাত্র প্রস্তুত ছিলেন সেই নম্রভাষী, বিনয়ী খলিফা ? হতভম্ব হয়ে গেলেন, নির্বাক দু’চোখে তাঁর ফুটে উঠল অপার বিস্ময়। আমি ? আমি করব এই জঘন্য প্রতারণা ? নাউজুবিলাহ ! রসুলুলাহ্ (দঃ)-এর দু-দু’টো মেয়ের জামাই হয়ে, ইসলামের জন্য সর্বত্যাগ করে, ইসলামের খলিফা হয়ে ? ছি ছি ছি। নাউজুবিলা মিন জালেক্ !

যা বুঝবার বুঝে গেল সবাই। আগে থেকেই টগবগ করে ফুটছিল বেদুইনের রক্ত। এবার তাতে তেল ঘি সব একযোগে পড়ল। হাজার তরোয়াল, হাজার বজ্রমুষ্ঠি উঠে গেল আকাশে। কোথায়, কে সেই শয়তান। কে সেই পাপিষ্ঠ ষড়যন্ত্রকারী, যে খলিফার সই জাল করে, সরকারী স্ট্যাম্প চুরি করি লাগিয়ে সর্বনাশা পরোয়ানা মিশরে পাঠাচ্ছিল, মুসলিম উম্মা’র মধ্যে আত্মঘাতি রক্তস্রোতের চেষ্টা করছিল। বসল তদন্ত কমিটি। ওই, ওই যে ধীরে ধীরে অন্ধকার ভেদ করে ফুটে উঠছে ষড়যন্ত্রকারীর চেহারা। হাজার হাজার রক্তচক্ষু চলে এলো আরো কাছে, ভাল করে দেখবার জন্য। প্র মে অস্পষ্ট, তারপর ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে অবশেষে প্রমাণিত হয়ে গেল সে চেহারা।

মারোয়ান। মারোয়ান বিন হাকাম। খলিফার চাচাতো ভাই। এবং তাঁর জামাইও বটে। আর সরকারী উপদেষ্টা। খলিফার বাড়িতেই তার অবস্থান। সে অবস্থানের পূর্ণ সুযোগই নিয়েছে সেই ঘরজামাই। খলিফার সই জাল করেছে, সরকারি স্ট্যাম্প চুরি করে লাগিয়েছে, মুসলমান সমাজে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার ষড়যন্ত্র করেছে।

বিদ্রোহীরা সগর্জনে অবরোধ করল খলিফার বাড়ি। হাজার কণ্ঠে চিৎকার উঠল ‘মারোয়ানকে চাই। শয়তানকে চাই হাতের মুঠোয়।’ আবার কেঁপে উঠল মদিনা। নেতৃবৃন্দ আপ্রাণ চেষ্টা করলেন সে ঝড় শান্ত করতে, কিন্তু বন্দী হবার ঝড় সে নয়। জীবনে এই প্র ম আলগা হয়ে গেল নেতাদের ও হযরত আলী (রাঃ)-এর নেতৃত্বের লাগাম। সে লাগাম ছিঁড়ে ছুটে বেরিয়ে গেল সাইক্লোন তার অনিবার্য ধ্বংসের দিকে। হাজার হাজার উন্মত্ত বিদ্রোহীদের দাবি, ‘হয় মারোয়ানকে দাও, নতুবা সরে দাঁড়াও খলিফা পদ থেকে।’ তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন মুহম্মদ বিন আবুবকর, সাথে রয়েছে কেনানা, সওদান, এবং আমর।

এইখানে এসে থমকে গেছে ইতিহাস। থমকে যাব আমরাও। হযরত ওসমান (রাঃ) মারোয়ানকে বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দিলেন না। বিচারও করলেন না, শাস্তিও দিলেন না। কেন ? জবাব নেই ইতিহাসে। সত্যের আড়ালে নিশ্চয়ই কোন সত্য লুকিয়ে আছে। বন্দিনী রাজকন্যার মতো এখনো হয়তো সে সত্য কোন আঁধারে অপেক্ষা করে আছে, কবে কোন রাজপুত্র এসে তাকে আলোর ভুবনে নিয়ে যাবে।

এদিকে ক্ষিপ্ত বিদ্রোহীদল দ্বারা ঘরবন্দি অনড় খলিফা, ওদিকে মক্কায় চলছে হজ্জ্ব। ‘লাব্বায়েক, হে প্রভু ! তুমি ডেকেছ, এই যে আমি হাজির হয়েছি।’ ভবিতব্য এড়াল না হযরত আলী (রাঃ)-এর চোখে। মদিনার বিদ্রোহের খবর ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে মক্কায়। হজ্জ্ব শেষ হলেই লক্ষ হাজীর বন্যা খলীফাকে রক্ষা করার জন্য পাগলের মতো ছুটে আসবে মদিনায়। হাতির পায়ের নিচে পিঁপড়ের মতো পিষে যাবে বিদ্রোহী দল। এটুকু বুঝবার মতো বুদ্ধি বিদ্রোহীরা রাখে। তাহলে তাদের সামনে একটাই খোলা পথ। শিউরে উঠলেন হযরত আলী (রাঃ), দুই ছেলে হাসান-হোসেনকে পাঠিয়ে দিলেন তৎক্ষণাৎ। খলিফার বাড়ির সদর দরজায় তরবারি হাতে হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন ইসলামের সিংহ-তনয়রা। জোঁকের মুখে নুন পড়ল। সংখ্যায় মাত্র দুই কিন্তু ওজনে অসীম। বিশ্বের শুদ্ধতম রক্ত বইছে ওই দুই শরীরে। ওখানে হাত দিলে বিলক্ষণ অসুবিধা আছে। সাথে যোগ দিল হযরত তাল্হা (রাঃ) হযরত যোবায়ের (রাঃ)-এর ছেলেরাও।

প্রমাদ গুনল বিদ্রোহীরা। মক্কার বন্যা মদিনায় পৌঁছে গেছে প্রায়। আর সময় নেই। অলক্ষ্যে অট্টহাসি হাসল নিয়তি। অন্দর মহল লক্ষ্য করে চলল তীর। একটা তীর এসে আহত করল হযরত হাসান (রাঃ)-কে। এ-খবর বাইরে যাবার আগেই সμিμয় হয়ে উঠল সন্ত্রস্ত বিদ্রোহীরা। পেছনের পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ল ভেতরে। নীচের তলায় তখন একা কোরাণ শরীফ পড়ছেন কোরাণ সঙ্কলনকারী হযরত ওসমান গণি (রাঃ), বাকি সবাই ওপরের তলায়। বৃদ্ধ খলিফার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল মুহম্মদ। ছোটবেলায় ওই কোলেই কত না খেলা করেছে সে। কি করে যে দিন বদলায় !

আক্রমণের মুখে বেদনার্ত খলিফা শুধু বলতে পারলেন, “ভাতিজা ! আজ তোমার বাবা বেঁচে থাকলে তুমি কি আমার সাথে এরকম করতে পারতে ?”

  • “শুনিয়া মুহম্মদ লজ্জা পাইয়া চলিয়া গেলেন।” (একটা বইয়ের কথা)
  • “শুনিয়া মুহম্মদ লজ্জিত হইয়া খলিফাকে ছাড়িয়া পিছু হটিয়া আসিলেন।” (আরেকটা বইয়ের কথা)

যাহোক, ‘চলিয়া’ গেলে তো ভালই, ‘পিছু হটিয়া’ এলেও অন্যেরা কি করল ? অস্ত্রের পর অস্ত্র বৃদ্ধ খলিফার অর্দ্ধাহার অনাহারক্লিষ্ট দুর্বল শরীর ছিঁড়ে ফুঁড়ে বেরিয়ে যেতে থাকল। তাঁর স্ত্রী হযরত নায়লা (রাঃ) চিৎকার করে ছুটে এলে তাঁর একটা আঙ্গুল কেটে মাটিতে পড়ল। সামনে তখনও খোলা রয়েছে পবিত্র কোরাণ। কোরাণের সঙ্কলনকারী যুন্নুরাইন হযরত ওসমান গণি (রাঃ)-এর পবিত্র রক্ত ছিটকে পড়ে ভিজিয়ে দিয়েছে সেই আয়াত − ‘শুধুমাত্র আলাহ্- ই তোমার জন্য যথেষ্ট। তিনি শ্রোতা এবং বিজ্ঞ।’ ইনড়বালিলাহে ওয়া ইনড়বা ইলায়হে রাজেউন।

দিগন্ত বিস্তৃত উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে তখন ঘূর্ণিবায়ে হাহাকার করে ফিরছে লু হাওয়া। মরুভূমির প্রতিটি বালুকণা জেনে গেছে, এ তো সবে শুরু। অলক্ষ্যে বিশাল ফণা তুলে গত ছয় সাত বছর ধরে এধার ওধার দুলছিল যে কালনাগ, এ তার প্র ম ছোবল মাত্র। এরপর একের পর এক μμমাগত ছোবলে ছোবলে ছিনড়বভিনড়ব করবে সে মুসলিম উম্মা’র শরীর। এদিকে ’৭১-এর আলবদরের মতো পালিয়ে গেছে মারোয়ান। হযরত ওসমান (রাঃ)-এর রক্তাক্ত জামা আর হযরত নায়লা (রাঃ)-এ কাটা আঙুলও পাচার হয়ে গেছে সিরিয়ার গভর্নর মাবিয়ার কাছে। বাইশ বছর ধরে শক্ত শিকড় গেড়েছে মাবিয়া সেখানে। সে আঙুল, সে জামা আগুন জ্বালালো সিরিয়ায়। আগুন জ্বলল ইরাকে, মিশরে, ইয়েমেনে। ফুটন্ত ভাতের হাঁড়ির মতো টগবগ করে ফুটতে লাগল মুসলিম বিশ্ব। একের পর এক চলল কালনাগিণীর মরণ ছোবল। নেমে এলো ঘোর অমানিশা, সঘন শর্বরী।

আর মারোয়ান ? তার কি হল ? সে কিন্তু মারা পড়েনি কারণ ফুল গাছের চেয়ে আগাছার প্রাণশক্তি অনেক বেশি। একটা সুন্দর প্রজাপতি অনেক সহজে মরে একটা অসুন্দর ইঁদুরের চেয়ে। বাংলার পলাশী যুদ্ধের ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন − “বণিকের মানদণ্ড পেহালে শর্বরী, দেখা দিল রাজদণ্ড রূপে।” আর, মুসলিম ইতিহাসে আমরা দেখি পাপিষ্ঠের পাপদণ্ড পোহালে শর্বরী, দেখা দিল রাজদণ্ড রূপে।

হযরত আবুবকর, ওমর, ওসমান, আলী (রাঃ আনহুম)-এর পরে মুসলিম উম্মা’র অষ্টম খলিফার নাম − মারোয়ান বিন হাকাম। বিশ্বমুসলিমের নেতৃত্ব এই প্রম চলে গেল ক্রিমিন্যালের হাতে, ১৪০০ বছর আগে। এখনো তার কিছুটা রয়ে গেছে ॥