shariakibole.com

ব্যাখ্যার ভয়াবহতা

ওপরে আমরা যা দেখলাম তা দেখলাম। তখন মুসলিম সৈন্যেরা শত শত বছর ধরে সিন্ধু থেকে স্পেন পর্যন্ত দেশের পর দেশ জয় করেছিল। বাপ-দাদার আমল থেকে যুদ্ধজয় দেখতে দেখতে কিছু ইমাম হয়ত মনে করতেন এভাবে যুদ্ধ করে সারা পৃথিবী জয় করে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতেই নবীজী ধরায় এসেছিলেন। তাই কিছু ইমাম ইসলামের ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা আমি এখানে তুলে ধরব অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য কেতাব থেকে, – সুরা তওবা আয়াত ২৯ হল ঃ ‘তোমরা যুদ্ধ কর আহ্লে-কিতাবের (ইহুদী-খ্রীষ্টান) ঐ লোকদের সাথে, যারা আলাহ ও রোজ হাশরে ইমান রাখে না, আলাহ ও তাঁর রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং সত্যধর্ম গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা হাত জোড় করে জিজিয়া প্রদান করে।’ ‘তলোয়ার আয়াত’ নামেই সুরা তওবা আয়াত ২৯ বিখ্যাত।

‘‘তখন সমস্ত বাধ্যবাধকতা (অমুসলিমদের সাথে চুক্তি ইত্যাদি) বাতিল করিতে আলাহ সুরা তওবা-তে হুকুম জারি করিলেন। এবং আদেশ করিলেন যুদ্ধ করিতে সকল মুশরিকদের সহিত, এবং ইহুদী-খ্রীষ্টানদের সহিত, যদি তাহারা ইসলাম গ্রহণ না করে, অথবা স্বেচ্ছায় অপমানিতভাবে আত্মসমর্পণ করিয়া জিজিয়া কর না দেয় যাহা সুরা তওবা আয়াত ২৯-এ নাজিল হইয়াছে। সুতরাং, পৌত্তলিক, ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাতিল করার বা সমঝোতায় আসিবার বা হিংস্রতা বাতিল করার অনুমতি মুসলমানদিগকে দেওয়া হইল না চিরকালের জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানেরা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি রাখে। সুতরাং ইহা স্পষ্ট যে, প্র মে যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল। তারপর যাহারা মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যাহারা আলাহ ছাড়া অন্যের উপাসনা করে তাহাদের বিরুদ্ধে প্র মে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হইল ও পরে যুদ্ধকে বাধ্যতামূলক করা হইল।’’- সূত্র ঃ মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুহসিন খান-এর অনুদিত সহি বুখারী (অখণ্ড) পৃঃ ১০৮১।

ইসলামের এ-এক ভয়াবহ ব্যাখ্যা। বর্তমান বিশ্বের দিকপাল শারিয়া-সমর্থক ডঃ হাশিম কামালি এতে বিচলিত হয়ে বলেছেন ঃ “কোরাণের একশ’টির বেশি মূল্যবোধের আয়াত − যেমন দয়া, ক্ষমা, শান্তি, ন্যায়-ব্যবহার ও সহনশীলতাকে ‘তলোয়ার আয়াত’ বাতিল করিয়াছে বলিয়া দাবি করা হয়…ইহা হয়ত তখনকার সময়ে কাজে লাগিয়াছে যখন মুসলমানেরা পৃথিবীতে রাজনৈতিক-সামরিক শক্তিতে অনন্য ছিল। কিন্তু ইহা তখনো যথার্থ ছিল না, এখনো এই পরিবর্তিত বিশ্বে ইহা গ্রহণযোগ্য নহে” (প্রিন্সিপল্স অব্ ইসলামিক জুরি¯প্র“ডেন্স, পৃঃ ৫০৭)।

“কুরাণিক ল’ অব্ ক্রাইম্স্” বইটি দুঃখ করে বলেছে ঃ “এই একটি মাত্র তলোয়ার-আয়াত দ্বারা একশ’ চব্বিশটির বেশি (মূল্যবোধের) আয়াতকে বাতিল করিয়াছে, এমনকি বাকারা ২৫৬-কেও (‘ধর্মে জবরদস্তি নাই’)” পৃঃ ৮।

ডঃ সাচেদিনার মত বিশাল পণ্ডিতও দুঃখ করে বলেছেন ঃ “শারিয়া নেতাদের মতে কোরাণের সহনশীলতার আয়াতগুলিকে বাতিল করিয়াছে ‘তলোয়ার-আয়াত’ সুরা তওবা আয়াত ২৯ যাহা ইহুদী-খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে (চিরকালের জন্য) যুদ্ধের আদেশ দেয়” (দি ইসলামি রুট্স্ অব্ ডেমোμμ্যাটিক পুরালিজ্ম্ , পৃঃ ৪৮)। এ অপব্যাখ্যার প্রভাব মুসলিম সমাজকে পথভ্রষ্ট করছে। ইসলামের এই হিংস্র ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে চলেছে বর্তমানের শারিয়াপন্থীরাও, সূত্রঃ দৈনিক সংগ্রাম, ০৪ জানুয়ারী, ২০০৭। এ-রকম বহু উদাহরণ আছে।

হুবহু ঠিক এই অপদর্শনের ভিত্তিতেই মওলানা মওদুদি বলেছেন ঃ “ইসলাম দেশ- জাতি নির্বিশেষে ইসলামের দর্শন ও কর্মপদ্ধতির পরিপন্থী সকল রাষ্ট্র ও সরকারকে পৃথিবী হইতে ধ্বংস করিতে চায়” (ইসলামে জিহাদ, পৃঃ ৬)। এই অপদর্শনটা পৃথিবীর তাবৎ অমুসলমানের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা জানার পর ইউরোপ- আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া যদি একযোগে পৃথিবীর সব মুসলমানকে সামরিক আক্রমণ করে তবে কি হবে ? ওই আক্রমণাত্মক দর্শনেই মওদুদি তাঁর দল গঠন করেছেন এবং বলেছেন ঃ “ ‘পার্টি’ শব্দটির জন্য কোরাণ ‘উম্মা’ শব্দ ব্যবহার করিয়াছে…হজরত আবুবকর ‘মুসলিম পার্টি‘র নেতৃত্ব দিয়াছিলেন” (ইসলামে জিহাদ পৃঃ ৫, ১০ ইত্যাদি)। অর্থাৎ তিনি বিশ্ব- মুসলিমকে ‘পার্টি’ বলতে গিয়ে কোরাণ ও হজরত আবুবকরকে পর্য্যন্ত জড়িয়ে ফেলেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে অসংখ্য মুসলমান এটা অত্যন্ত অপছন্দ করেন। দেখুন, মদিনার শান্তিচুক্তির ৪৭টা ধারার ২ নং ধারায় নবীজী নিজেই মদিনার মুসলিম-ইহুদী-খ্রীষ্টান-পৌত্তলিক সবাইকেই ‘উম্মা’ হিসেবে চিহ্নিত করে দলিলে সই করে গেছেন (দ্য ফার্স্ট রিট্ন্ক ন্সটিটিউশন অব্ দ্য ওয়ার্লড − হামিদুললাহ ১৯৪১, পৃঃ ৪২ ও ইবনে হিশাম ইবনে ইশাক, পৃঃ ২৩১)। শারিয়াপন্থীদের তুমুল জনপ্রিয় লেখিকা ক্যারেন আর্মস্ট্রংও বলেছেন, “মুসলিম, ইহুদী, পুতুল-পূজক সকলেই এক ‘উম্মা’র অন্তর্ভুক্ত ছিল” (ইসলাম, এ-শর্ট হিস্ট্রি পৃঃ ১৪)। সে-হিসেবে যে-কোনো শাসনকার্যের আওতায় সবাই এক উম্মা, অর্থাৎ এক জাতি, যেমন আমরা জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশী। কিন্তু মওদুদি তাঁর নিজস্ব বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নবীজীর দেয়া শব্দের অর্থ বদলালেন ও নবীজীকে ‘আক্রমণকারী’ বানালেন। তিনি বললেন ঃ “পরে চারপাশের দেশগুলিতে নবী (দঃ) ইসলাম গ্রহণের আমন্ত্রণ পাঠান। যখন ওই দেশগুলির শাসনকর্তারা তাঁর আমন্ত্রণ অস্বীকার করিল, তখন নবী (দঃ) তাহাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিলেন” (ইসলামে জিহাদ, পৃঃ ২৩)।

ইসলামের এ-এক ভয়াবহ ব্যাখ্যা। যুদ্ধের আয়াত দিয়ে কোরাণের দয়া-মায়া- ক্ষমা-সহ্যগুণ এসবের আয়াতকে বাতিল করে ইসলামের ভিত্তিই টলিয়ে দেয়া হয়েছে। এটাই শারিয়া-ইসলাম। এজন্যই বিশ্বের অগণিত মুসলমান এ-ব্যাখ্যাকে বাতিল করেছেন, বহু অমুসলমান ইসলামকে ভয় পেতে শুরু করেছে। অন্যদিকে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি, শাহজালাল-শাহ-মখদুম-নিজামুদ্দীন আওলিয়াকে কেউ কোনদিন কোনো সমালোচনা করেনি, আজও উনাদের দরগায় শত শত নয়, হাজার হাজার মুসলিম ও অমুসলিম পর্যন্ত গিয়ে শান্তি পায়। ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম হয় তবে এমন শান্তি আর কোথায় আছে ? মওদুদির ওই ব্যাখ্যা আর শারিয়া দেশগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখে দেখে পশ্চিম বিশ্বে সাধারণ জনগণও এখন বলা শুরু করেছে ঃ “শারিয়া হইল সন্ত্রাসের জনক” (র‌্যাডিক্যাল ইসলাম রুল্স্,পৃঃ ১৬)। সে-জন্যই শারিয়াকে শুধুমাত্র একটা নিরীহ আইনের বই মনে করা মহাভুল হবে। আসলে শারিয়া হল “অন্য সকল রাষ্ট্র ও সরকারকে পৃথিবী হইতে ধ্বংস” করে বিশ্ব-ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভয়াবহ অপদর্শন।

ব্যাখ্যা জিনিসটাই এমন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিলকে তাল করা যায়, একটা বঞ্চিত নিপীড়িত জাতির মরণপণ রক্তাক্ত স্বাধীনতা যুদ্ধকে ‘গণ্ডগোলের সময়’ কিংবা ‘ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া’ বলা যায়। আরো দেখুন, সৈন্যদলের একমাত্র কাজ হল বিদেশী আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। এটা স্বীকার করে তাদেরকে শপথও নিতে হয়। সেই শপথ শিকেয় তুলে তারা যদি বিপুল বিক্রমে নিজের দেশকেই জয় করে ফেলে তাবে তা নির্ঘাৎ অন্যায়। কিন্তু এ-হেন শপথ-ভঙ্গ ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী সামরিক অভ্যুত্থানকেও ইসলামি বলে ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব যেমন ঃ “কোরাণের আয়াত অনুযায়ী বানানো ইসলামি আইন মোতাবেকই সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়াছে পাকিস্তানের বর্তমান (১৯৮৪ সালের) মার্শাল ল’ বৈধ” (জুরিস্টিক ডিফারেন্সেস অ্যাণ্ড হাও টু রিজলভ্ দেম” পৃঃ ১০ − মিঃ আফজাল চীমা, চেয়ারম্যান, কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিয়োলজি, পরিচালক − রাবিতা, এশিয়ান বিভাগ, ইসলামাবাদ ও প্রাক্তন বিচারক)। এরই নাম ইসলাম বিকৃতি। ইসলামের এ-রকম ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যা দ্বারাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি মুসলিম সৈন্য দ্বারা বাঙালি হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করাকে হালাল ঘোষণা সম্ভব হয়েছে। কোনো শারিয়াপন্থীরা তার প্রতিবাদও করেননি।

একই ব্যাপারে একই পণ্ডিতের উল্টো ব্যাখ্যাও দেখি আমরা। ডঃ জামাল বাদাওয়ী বিশ্ব-বিখ্যাত শারিয়া-সমর্থক পণ্ডিত, বিশ্ব-বক্তা ও বহু আন্তর্জাতিক শারিয়া সংগঠনের নেতা। তাঁর সর্বাধিক প্রচারিত নিবন্ধ ইসলামে নারীর অধিকারে তিনি এক ঝাঁক যুক্তি দিয়ে দৃঢ়ভাবে দেখিয়েছিলেন কেন ইসলামে নারী নেত্রীত্ব নিষিদ্ধ। তাঁর বহু ভক্তেরাও নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করেছিল − আমিও পাঠিয়েছিলাম আমার “নেতৃত্ব ও নেত্রীত্ব” নিবন্ধের দলিলগুলো। কিছুদিন পরে তাঁর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি তিনি আগের যুক্তিগুলো বাতিল করে অন্য এক ঝাঁক যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন কেন ইসলামে নারী নেত্রীত্ব গ্রহণযোগ্য।

মওদুদির স্ববিরোধী ব্যাখ্যাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন “যে-সকল বিষয়ে স্রষ্টা এবং তাঁহার রসুলের সুনির্দিষ্ট বিধান রহিয়াছে, সে-সকল বিষয়ে কোন মুসলিম নেতা, আইনবিদ বা ইসলামি বিশেষজ্ঞ, এমনকি দুনিয়ার সব মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হইলেও বিন্দুমাত্র রদবদল করিতে পারিবে না” (ইসলামিক ল’ অ্যাণ্ড কন্সটিটিউশন” − পৃঃ ১৪০)। মদিনা চুক্তিটার ১৪ নম্বর ধারায় আছে “কোন অবিশ্বাসীকে খুন করার বদলে কোন মুসলমান অন্য মুসলমানকে খুন (ইয়াক্তালু) করিবে না।” অর্থাৎ তিনি ওই আইন মানবেন, কোন মুসলিম কোন অমুসলিমকে খুন করলে খুনীর মৃত্যুদণ্ড দেবেন না। অথচ সেই তিনিই আবার উল্টো ব্যাখ্যায় বলেছেন, “ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিম নাগরিকদের জান-মাল ও সম্মানকে হুবহু মুসলিম নাগরিকদের মতই হইতে হইবে। দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে মুসলিম-অমুসলিমের কোনই পার্থক্য নাই।” − হিউম্যান রাইট্স্ ইন্ ইসলাম” পৃষ্ঠা ১২। এভাবে তাঁর অনুসারীরা যে কত জায়গায় কতভাবে মারাত্মক স্ববিরোধিতার শিকার হচ্ছে এবং জাতিকে তার দাম দিতে হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই।

মতলবি ব্যাখ্যার আরেকটা উদাহরণ দেখুন। সুরা হাদীদ আয়াত ২৫ ঃ “আর আমি নাজিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার।” অবশ্যই লোহাতে আছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের অনেক উপকার, যেমন লাঙ্গল, গাড়ি, ইত্যাদি। আসলে লোহা ছাড়া জীবনই চলবে না। কিন্তু এটাকে শারিয়াপন্থীরা রাজনৈতিক রং চড়িয়ে অনুবাদ করেছেন “যাতে আছে প্রচণ্ড রণশক্তি”। এটা প্রমে করেছেন ইবনে কাথীর, কারণ তাঁর সময়ে মুসলিম- অমুসলিমের প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছিল। অর্থাৎ ব্যাখ্যাটায় যুদ্ধের কথা ঢুকিয়ে দিয়ে বিশ্ব- মুসলিমকে চিরকালের জন্য দুনিয়ার সব অমুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দিকে উসকিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যুদ্ধ করে দুনিয়ার সমস্ত অমুসলিমকে পরাজিত করার স্বপড়বটা ভেঙে গেছে কিন্তু ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করার স্বপড়বটা রয়ে গেছে। তাই ব্যাখ্যাটাও বদলানো হয়েছে। এখন ওটা আর ‘রণশক্তি’ নয়, এখন ওটা হয়ে গেছে ‘রাষ্ট্রশক্তি’ − বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ৩য় খণ্ড পৃঃ ২৪৫।

ইসলাম নিয়ে কোন সে ষড়যন্ত্রে লোহার শক্তিকে পেঁচিয়ে রাষ্ট্রশক্তি বলা হয় জাতি তা ঠিকই বোঝে ॥