হাসান মাহমুদ
hasan@hasanmahmud.com
http://www.hasanmahmud.com/
In SHARIAKIBOLE.COM it is written as:-
সদস্য – ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস উপদেষ্টা বোর্ড
সাধারণ সম্পাদক- মুসলিমস ফেসিং টুমরো- ক্যানাডা
রিসার্চ এসোসিয়েট- দ্বীন রিসার্চ সেন্টার, – হল্যান্ড
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আমেরিকান ইসলামিক লিডারশীপ কোয়ালিশন
ক্যানাডা প্রতিনিধি, ফ্রি মুসলিমস কোয়ালিশন
প্রাক্তন ডিরেক্টর অফ শারিয়া ল’ ও প্রেসিডেন্ট, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস
মুখবন্ধ
“ইসলাম ও শারিয়া” নামে এ বই প্রম প্রকাশিত হয়েছিল ফেব্র“য়ারী ২০০৭ সালে। গত তিন বছরে এর তিনটে সংস্করণ শেষ হবার জন্য আলাহ’র কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। “ইসলাম ও শারিয়া” নামটা এ বইয়ের বক্তব্যকে স্পষ্ট করে না ব’লে নূতন নাম দেয়া হলো “শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি”. ফলে এর পেছনে সময় দেয়ার আগে সবাই স্পষ্ট ধারণা পাবেন ও সিন্ধান্ত নিতে পারবেন এ বইয়ের বিষয়বস্তু তাঁদের কাছে আকর্ষণীয় বা প্রয়োজনীয় মনে হয় কি না। এই সাথে “ইসলাম ও শারিয়া” নামে কোনো নূতন সংস্করণ বন্ধ করা হলো।
পৃথিবীতে ধর্মের নামে সন্ত্রাস বাড়ছে। মানবজাতির মন-মানস এখন তপ্ত সন্ত্রাসের দিকে নিবদ্ধ, যেমন নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ার ধ্বংস, ইউরোপে ও মিসরে বাস-ট্রেনে, স্কুলে বা রিসর্টে হত্যাযজ্ঞ, অযোধ্যা ও গুজরাটে মুসলিম-নিধন, ভারত-বাংলাদেশে জঙ্গীদের বোমাবাজী, পাকিস্তানে একের পর এক মসজিদে গণহত্যা, ইরাক-আফগানিস্তা নে আমেরিকা-বিলেতের গণহত্যা, ইত্যাদি। কিন্তু সেই সাথে ধর্মীয় আইনের নামে শীতল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামটাও কম জরুরী নয়। এ সন্ত্রাসে রক্তপাত কমই হয় কিন্তু অনেক বেশি মানুষের জীবন ধ্বংস হয় ও ধর্মের বদনাম হয়। প্রতিটি দেশের সংবিধানে অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইন আছে। কিন্তু সেই অত্যাচার যখন ধর্মের খোলস প’রে আসে তখন রাষ্ট্রীয় আইন পেছনে হ’টে আসে। এটা মুসলিম বিশ্বে যেমন সত্য, তেমন সত্য উনড়বত ব’লে কথিত ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতেও। এর অবসান হওয়া দরকার। বিশ্বমুসলিমকে বুঝতে হবে স্বামী যদি ইচ্ছেমতো বিয়ে-তালাক বা স্ত্রীকে প্রহার না-ও করে তবুও তার সে অধিকারটাই নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস। এ বইতে দেখানো হলো কিভাবে ওসব নারী-বিরোধী সন্ত্রাস ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে এবং কিভাবে আমরা কোরাণ-রসুলের আলোকে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি ॥
“যাহারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপনড়ব করিয়াছে আমি তাহাদিগকে ক্রমানবয়ে পাকড়াও করিব এমন জায়গা হইতে যাহা তাহারা ধারণাও করিতে পারিবে না”
(আল্ আরাফ ১৮২)।