ইমাম শাফি’র শারিয়া-কেতাব “উমদাত আল্ সালিক”-এ আইন আছে ছয় হাজারের বেশি। ইমাম আবু হানিফার কেতাব হেদায়া-তেও প্রায় ছয় হাজার। আমাদের ইসলামি ফাউণ্ডেশনের প্রকাশিত তেইশশো’ পৃষ্ঠার বিধিবদ্ধ ইসলামি আইনে ৩ খণ্ড মিলে আইন আছে প্রায় দেড় হাজার। অথচ কোরাণে আইন আছে মাত্র কয়েকটি এবং হাদিসে আছে আরো কিছু, ব্যস্। তাহলে বাকি হাজার হাজার আইনগুলো কোত্থেকে এল ? ওগুলো নিশ্চয়ই এসেছে অন্যদের বানানো বহু উৎস থেকে। কিন্তু যেহেতু বিরাট পুকুরে এক ফোঁটা দুধ মিশালে তাকে দুধের পুকুর বলা যায় না, তেমনি মানুষের বানানো হাজার হাজার আইনের মধ্যে কোরাণ-হাদিস থেকে মাত্র কয়েকটা ঢুকিয়ে দিলে তাকে ‘আলার আইন’ বলা যায় না। যেমন, বিধিবদ্ধ ইসলামি আইনের ৩য় খণ্ডের ৫১ অধ্যায়ের আইনে আছে ১৮৬টা। কিন্তু তার ৩৪৪টা সূত্রের মধ্যে কোরাণ মাত্র ১টা আর সহি হাদিস ১৮১টা। বাকি ১৬২টা সূত্রই কোনো না কোনো মানুষের মতামত মাত্র। আসলে শারিয়ার আইনগুলো এসেছে প্রায় ১১টা উৎস থেকে ঃ
কোরাণ থেকে : যেমন অনিয়ন্ত্রিত বহুবিবাহ, স্ত্রী-প্রহার, নারীর অর্ধেক উত্তরাধিকার, ক্ষেত্রবিশেষে নারীর অর্ধেক সাক্ষী ইত্যাদি। কিন্তু কোরাণের আয়াত দিয়ে যেভাবে আইন বানানো হয়েছে তাতে অনেক মওলানা-বিশেষজ্ঞরা চিরকাল তীব্র আপত্তি করেছেন। অর্থাৎ এ আইনগুলো কখনো ‘সর্বসম্মত’ ছিল না।
হাদিস বা সুনড়বত থেকে : যেমন পরকীয়া, মুরতাদ ও ধর্ষকের দণ্ড, ইত্যাদি। এর প্রতিটিই কেন কোরাণ-বিরোধী তার প্রমাণ এই বইয়ের বিভিনড়ব নিবন্ধে দেয়া আছে। শত শত শারিয়া আইন হাদিস-নির্ভর। যদিও বলা হয় সহি সিত্তা অর্থাৎ ছয়টা সহি হাদিস, আসলে আমাদের সহি হাদিস হল সাতটা − বোখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্, তিরমিজী, নাসায়ী ও মুয়াত্তা। হাদিসের মধ্যে অনেক অমূল্য রতন আছে কিন্তু সেই সাথে “শারিয়া বানাবার সময়টাতে জাল হাদিসের বন্যা বয়ে গিয়েছিল” − (শাফি’ শারিয়া পৃঃ
১০২৭)।
হাদিসের একটা অঙ্ক দিলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। আমাদের নবীজী তো রহমতুলিল মুসলেমিন নন − অর্থাৎ শুধু মুসলমানের প্রতি আলাহ’র রহমত নন। তিনি হলেন রহমতুলিল আল্ আমিন, অর্থাৎ রহমত তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য। এবারে মনে করুন, সেই রহমতুলিল আল্ আমিন-এর নামে হিংস্র হাদিসগুলো দেখে আপনার বুক কেঁপে উঠল। আপনি বললেন এগুলো সত্যি হতে পারে না, নবীজীর পক্ষে এনিষ্ঠুরতা সম্ভব নয়। কিন্তু তৎক্ষণাৎ শারিয়া মোতাবেক আপনি হয়ে যাবেন মুরতাদ অর্থাৎ ‘ইসলাম ত্যাগকারী’ কারণ শারিয়াপন্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন “হাদিসকে যে অমান্য করে সে কাফের” (সূত্র ঃ অনেক শারিয়া কেতাব ; মওলানা মুহিউদ্দিনের কোরাণের বাংলা অনুবাদ পৃঃ ৭৪৩ ও ২৫৬ ; মওলানা আবদুর রহিমের ‘হাদিস সঙ্কলনের ইতিহাস’ পৃঃ ৯৪, ইত্যাদি)। এর পরেই আপনার ওপরে প্রয়োগ হবেআরেকটা শারিয়া আইন − “মুরতাদের সাজা মৃত্যুদণ্ড।” অর্থাৎ দাঁড়ালো এই, হয় আপনি ওই হিংস্র হাদিসগুলোকে ‘নবীর সুনড়বত’ হিসেবে সত্য বলে মেনে নেবেন, অথবা আপনাকে পাথরের আঘাতে মেরে ফেলা হবে।
পাঠক ! এর নাম ব্যা কমেল। হত্যার ভয় দেখিয়ে নিজেদের মতামত ইসলাম হিসেবে জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা। কথার কথা নয়, এই আইনে ইতিহাসে অজস্র মুসলমান খুন হয়েছেন শারিয়াপন্থীদের হাতে।
শারিয়াপন্থীদের আতঙ্ক আমি বুঝি। আতঙ্কটা হল, যেহেতু হাদিস দিয়েই শত শত অমানবিক নারী-বিরোধী আইন বানানো হয়ছে, তাই সহি হাদিসের ভেতরে এই অসহি চেহারা মানুষের সামনে খুলে গেলে শারিয়ার পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাবে। কিন্তু সুখবর হল, তুরস্কের সরকার সম্প্রতি চাউল থেকে কাঁকর বেছে ফেলে দেবার মত ওই হাদিসগুলোকে বাদ দিয়ে সহি হাদিসের কাজ হাতে নিয়েছেন। এর ফলে আমরা পেয়ে যাব আমাদের প্রিয় নবীজীর সত্য-সুন্দর উদাহরণ, আর সেই সাথে ওইসব হিংস্র হাদিস বাতিল হলে হাদিস-নির্ভর শত শত শারিয়া আইনের ভিত্তি টলে যাবে।
ইজমা, অর্থাৎ সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। কিন্তু ইজমা কাকে বলে সে ইজমাটাই মওলানারা ঠিক করতে পারেননি ১৪০০ বছরে। দুনিয়াজুড়ে কোটি মওলানাদের বা দেশজুড়ে হাজার হাজার মওলানাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অসম্ভব। তাছাড়া, কোন মওলানা এক সময়ের ইজমা অন্য সময়ে বদলে ফেললে ‘আলা’র আইন’- এর কি হবে ? এজন্যই শারিয়া কেতাবে বলছে কিছু ইমামের মতে কোন মওলানার ইজমা শুধু তাঁর মৃত্যুর পরেই গ্রহণযোগ্য (বি-ই-আ ২য় খণ্ড, পৃঃ ১৬) !
কিয়াস, অর্থাৎ মওলানাদের ব্যক্তিগত যুক্তি। কিন্তু দুনিয়াজুড়ে কোটি মওলানাদের ও দেশজুড়ে হাজার হাজার মওলানাদের কিয়াস পরস্পর-বিরোধী হবেই। সেজন্যই ইসলামের ইতিহাস মওলানাদের প্রতি মওলানাদের ‘কাফের-মুনাফেক’ ফতোয়া দিয়ে ভর্তি, সেজন্যই অবিভক্ত ভারতবর্ষের সর্বপ্রধান দু’টো ইসলামি প্রতিষ্ঠানের দেওবন্দী আর বেরিলভীরা একে অন্যকে কাফের বলেছেন, মওলানা মওদুদিকেও কাফের বলেছেন ভারত-বিখ্যাত মওলানারা। বিখ্যাত ইমাম হৌজ-এর নেতৃত্বে বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী’র মত দরবেশকেও ‘কাফের’ ফতোয়া দিয়েছিল এক হাজার মওলানা ঃ সূত্র − ফতহুল গয়ব (বড়পীর সাহেবের বক্তৃতা-সঙ্কলনের মুখবন্ধ)।
প্রাচীন কেতাব থেকে : যেমন স্বামীকে তালাক দিতে চাইলে স্ত্রীকে যেতে হবে শারিয়া আদালতে স্বামীর অনুমতি আদায়ের জন্য (ইহুদীদের গে’ট আইন), কিংবা জ্বেনাকারী ও মুরতাদের প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড, ইত্যাদি (ইহুদীদের ডিউটেরোনমি’র ১৩ থেকে ২৯ নং ভার্স)।
স্থানীয় প্রথা থেকে : বিধিবদ্ধ ইসলামি আইনের ১ম খণ্ড আইন নং ২২০-তে স্বীকার করাই আছে এ-আইন ‘স্থানীয় প্রথার প্রভাব।’ তাছাড়া আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে (ক) উরফি বিয়ে (কোন রকম দলিল ছাড়া গোপন বিয়ে), (খ) মাইসার বিয়ে যাতে কনে স্বীকার করে নেয় স্বামী তার থাকা-খাওয়া সহ কোন আর্থিক দায়িত্বই নেবে না, এবং (গ) মেয়েদের মুসলমানি করার আইন, ইত্যাদি স্থানীয় প্রথার আইন – দেখুন ‘নারীর মুসলমানি’ নিবন্ধ। ইমাম শাফি’র বিখ্যাত কেতাব রিসালা-তেও আছে : “প্রাচীন ব্যবিলন ও আরমাইক ছাড়াও রোমান ও ইরাণের আইনগুলি মুসলিম আইনবিদগণকে প্রচুর আইন বানাইবার কাঁচামাল দিয়াছে” − পৃঃ ৫। এভাবে জাহিল যুগের অনেক আইন শারিয়ায় ঢুকে গেছে। কিন্তু খুলে দেখুন কোরাণ কি বলছে − “তোমরা কি জাহেল যুগের আইন চালাতে চাও ?” (মায়েদা ৫০)। জাহেল যুগের আইন না চালাতে বলেছে সহি বোখারিও − নবম খণ্ড হাদিস ন¤¦র ২১।
অন্যান্য উৎস : (৭) সামাজিক রীতি-ভিত্তিক আইন, যেটা দেশে-বিদেশে বিভিনড়ব হতে বাধ্য, (৮) মওলানাদের স্বাধীন মতামত, এটা কিয়াস-এর কাছাকাছি এবং কিয়াস- এর মতই অবাস্তব, (৯) জনকল্যাণ, যাতে বিভিনড়ব সময়ে বিভিনড়ব দেশে বিভিনড়ব মওলানার বিভিনড়ব মতামত হবেই, (১০) সাম্য, যা সম্বন্ধেও বিভিনড়ব মওলানার বিভিনড়ব মতামত হতে বাধ্য, (১১) আগে থেকে যা চলে এসেছে যেমন “ইসলামের আগের যে-সব প্রথাকে ইসলাম উচ্ছেদ করে নাই তাহা শারিয়ায় যোগ করা হইয়াছে” (রিসালা পৃঃ ৪৪, ইত্যাদি)।
ইমামদের আইন নিয়েও এত বিভিনড়ব দলিল পাওয়া যায় যে কোন্টা ঠিক তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে কিনা সন্দেহ। দেখুন শারিয়া-সমর্থক আইনের প্রবীণ অধ্যাপক কি বলছেন ঃ
“চারিজন সুনিড়ব আইনিদাতার মধ্যে একমাত্র ইমাম মালিকই হাদিস সঙ্কলন করিয়াছিলেন। ইমাম মালিক নিজে এ-কাজ করেন নাই, তাঁহার মৃত্যুর পর তাঁহার ছাত্ররা করিয়াছিল … মুয়াত্তা (ইমাম মালিকের হাদিস) সম্পাদনা করিয়াছিলেন তাঁহার ছাত্র শায়বানী যিনি ইমাম আবু হানিফারও ছাত্র ছিলেন…‘মসনদ আবু হানিফা’ও ইমাম আবু হানিফা (মৃত্যু ৭৬৭ সালে) নিজে করেন নাই, উহা ১২৭৫ সালে সঙ্কলিত করিয়াছিলেন ইমাম মুয়াইদ খারাজামী …হানাফি আইনের ভিতর তাঁহার ছাত্রদের মধ্যে আবু ইউসুফ, শায়বানী, যুফার ও হাসানের অবদান আছে। সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, ইমাম হাম্বলের মৃত্যুর পরে তাঁহার মসনদের সঙ্কলন করিয়াছিলেন তাঁহার পুত্র আবু বকর ক্বাতি ও অন্যান্যরা… বস্তুতঃপক্ষে ইমাম শাফি’র আইনগুলি যোগাড়, সঙ্কলন ও প্রকাশিত করিয়াছেন তাঁহার ছাত্ররা। ‘মসনদ শাফি’ সঙ্কলিত করিয়াছেন তাঁহার ছাত্র রাবি সুলায়মানের অনুমতিক্রমে ইয়াকুব আল্ আছাম” (মুসলিম জুরি¯প্র“ডেন্স অ্যাণ্ড ল’ অব্ ক্রাইমস − ডঃ মীর ওয়ালিউলাহ, প্রিন্সিপ্যাল, আইন বিভাগ পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়)।
সব মিলিয়ে সত্যটা হলো − “ইজতিহাদের মাধ্যমে মানুষের যুক্তি শারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েছে” (হাশিম কামালি, মুখবন্ধ)। এ-কারণেই শারিয়াকে আলার আইন বলা যায় না। শারিয়াপন্থীদের প্রিয় বিখ্যাত লেখিকা ক্যারেন আর্মস্ট্রং বলেন − “ইমাম আবু হানিফা নিজে সামান্যই লিখিয়াছিলেন, তাঁহার ছাত্ররা তাঁহার শিক্ষাকে ভবিষ্যতের জন্য রক্ষা করিয়াছিল। পরবর্তিকালে কিছুটা ভিনড়বমতের আইনবিদগণ মজহাব প্রতিষ্ঠা করেন” (ইসলাম, এ শর্ট হিস্ট্রি, পৃঃ ৪৯)। হাম্বলি আইনও প্র মে সঙ্কলন করেন ইবনে কাদামাহ্ তাঁর আল্ মুঘনি বইতে, ইমাম হাম্বলের মৃত্যুর প্রায় পাঁচশ’ বছর পরে !
কোরাণ থেকে শারিয়া আইন যেভাবে বানানো হয়েছে তাতে কিছু ভুল পাওয়া যায়। আয়াতগুলো এত স্পষ্ট ও বিখ্যাত যে এগুলোকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলা কঠিন। যাহোক, ইচ্ছেকৃত হোক বা না হোক এ-ধরনের ভুল অত্যন্ত মারাত্মক। এতে কোরাণ-বিরোধী ও কোরাণ-নিরপেক্ষ আইনকেও কোরাণের আইন হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আরো দু’একটা উদাহরণ দিচ্ছি আমাদের ইসলামি ফাউণ্ডেশন থেকে প্রকাশিত বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন থেকে। ওটা হাতের কাছে পাওয়া যায় বলে আপনারা মিলিয়ে নিতে পারেন।
১। ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ২৮৬ থেকে উদ্ধৃতি ঃ “হত্যাকারীর অপরাধ প্রমাণের জন্য অন্ততপক্ষে দুইজন মুসলিম পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন হইবে। মহান আলাহ্র বাণী ঃ (সুরা বাকারা ২৮২ ও সুরা ত্বালাক ২-এর উলেখ) ”− উদ্ধৃতি শেষ।
কোরাণ খুলে দেখুন ওই আয়াত দু’টোয় দু’জন সাক্ষী রাখার নির্দেশ আছে শুধুমাত্র ধার- কর্জের দলিলের বেলায় (বাকারা ২৮২) আর স্ত্রী-তালাকের বেলায় (ত্বালাক ২)। এ-আইন কোরাণ-বিরোধী, কোরাণে কোথাও কোনো ব্যাপারে নারীর চাক্ষুষ সাক্ষ্য বাতিল করা হয়নি।
২। ১ম খণ্ড ৩১১ পৃষ্ঠা ও ২য় খণ্ড ২৭৯ পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধৃতি ঃ “জ্বেনার সাক্ষীর ক্ষেত্রেও সাক্ষ্য-আইনের সাধারণ শর্তাবলী প্রযোজ্য হইবে” − উদ্ধৃতি শেষ। এই সাধারণ শর্তাবলীর উৎস হিসেবে আবারো দেয়া আছে সুরা ত্বালাক আয়াত ২। অথচ তালাকের শর্তটা ঢালাও ভাবে ‘সাক্ষ্য-আইনের সাধারণ শর্তাবলী’ করা যায় না।
৩। ২য় খণ্ড ২৭০ পৃষ্ঠায় ইবনে মাজাহ্ হাদিস নং ১৪৫৪ ও ২৬৬৬-এর সূত্রে বলা আছে এক ধর্ষিতার সাক্ষ্যে ও গয়না-ডাকাতির শিকার এক বালিকার সাক্ষ্যে নবীজী অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনারা ইবনে মাজাহ্ খুলে দেখুন (২য় ও ৪র্থ খণ্ড পৃষ্ঠা যথাক্রমে ৩৪১ ও ৭৫), হাদিস ১৪৫৪-এ ধর্ষণের কোন কথাই নেই, আছে শুধু মৃতের খোলা চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে দেয়া। হাদিস নং ২৬৬৬- তেও গয়না-ডাকাতকে খোঁজা বা ধরার উলেখ নেই, মৃত্যুদণ্ড তো নেই-ই নেই।
শারিয়াপন্থীরা সর্বদাই বলেন আলাহ্ “নোজ্ দ্য বেস্ট” (আলাহ সবচেয়ে ভাল জানেন)। কিন্তু তাহলে রাষ্ট্র-আইন বানিয়ে নিজের মতামত অন্যের ওপরে চাপিয়ে দেয়াটা ইসলামি হয় কি করে এ প্রশড়বটার জবাব তাঁরা দেন না ॥